শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে রাজপথে বিল্পবী ছাত্র জনতা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেললেন মির্জা ফখরুল সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনে আহতদের জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে পাশে বিএনপি নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানক্লাব ‘নেবুলাস’-এর যাত্রা শুরু প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস গার্মেন্টস ব্যবসায়িদের নিঃস্ব করে কোটি টাকা প্রতারণা করে লাপাত্তা কৃষক লীগ নেতা হান্নান শেখ! টাকার বিনিময়ে বিদ্যুতের তার খাম্বা মিটার এনে দেন ইলেকট্রিশিয়ান জুলিয়ান!
‘বোতলে ভরা ভূত’ বেচতে গিয়ে আটক ৪

‘বোতলে ভরা ভূত’ বেচতে গিয়ে আটক ৪

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে ‘কাচের বোতলে-বন্দী ভূত’ বিক্রি করার চেষ্ট করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে চার ব্যক্তি। তার মধ্যে একজন পুলিশের গাড়িচালক।

একটা সাধারণ কাচের বোতল। তার ভেতরেই নাকি রয়েছে ভূত। বায়বীয় অবস্থায় আছে, তাই দেখা যাচ্ছে না। খুব কাজের ভূত – মালিক যা বলবে, তাই-ই করবে সে।

প্রমাণ চাই? তাও দিতে রাজি।

‘এক টাকার কয়েন ওই বোতলে ফেললেই নাকি সেটা ভেসে থাকবে, নীচে পড়বে না। তাহলেই বোঝা যাবে যে বোতলের ভেতরেই আছে ভূত,’ এমনটাই বলেছিল তারা।

কিন্তু যেই সেই কয়েনটা ফেলা হল, ঠং করে শব্দ। বোতলের নীচে পড়ে গেল কয়েনটা।

‘কোথায় তোমাদের ভূত? কয়েন তো নীচে পড়ে গেল,’ প্রতিবাদ করেছিলেন দুজন।

এঁরা এক কবিরাজের প্রতিনিধি হয়ে কলকাতা থেকে বোতলবন্দী ভূত কেনার আগে পরখ করে দেখতে গিয়েছিলেন বর্ধমান শহরে।

প্রথমে একটি বিজ্ঞাপন দেখে যোগাযোগ হয়, তারপরে ফোনে ফোনেই আলোচনা হয়েছিল দুই তরফে।

দূর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে একটি পুলিশের গাড়িই তাদের বর্ধমান শহরের একটি হোটেলে নিয়ে যায় ভূত দেখাতে।

হোটেলে বসেই ভূত বিক্রেতা আর ক্রেতার মধ্যে আলোচনা হচ্ছিল, দেওয়ার কথা ছিল লাইভ ডেমনস্ট্রেশান।

কিন্তু ওই একটা ‘ঠং’ শব্দই পাল্টে দেয় পরিস্থিতি।

ভূত যে সত্যিই নেই – সেটা বুঝে যান কলকাতা থেকে যাওয়া ক্রেতারা। তারা ভূত না কিনেই ফিরে যেতে চান।

কিন্তু বিক্রেতারা নাছোড়বান্দা। তারা দাবী করে বসে যে ভূত না দেখা গেলেও দিতে হবে টাকা। এক দু টাকা নয় – পুরো পাঁচ লাখ। সঙ্গে হোটেলের থাকা খাওয়া বাবদ আরও ২০ হাজার।

টাকা না পেয়ে কলকাতার বাসিন্দা তাপস রায়চৌধুরী আর বাসুদেব কুন্ডুকে আটকিয়ে রাখে চার ভূত বিক্রেতা। অভিযোগ বেশ কিছু টাকা কেড়েও নেওয়া হয়।

কোনওভাবে পুলিশের কাছে খবর যায়। তারাই এসে উদ্ধার করে দুজনকে। সঙ্গে গ্রেপ্তার হয় বিক্রেতারাও।

ধৃতরা সবাই হুগলী জেলার বাসিন্দা, তাদের মধ্যে এমন একজন আছে, যে পুলিশের গাড়িচালক।

পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ বলছে লোক ঠকানোর অভিযোগে যে চার ভূত বিক্রেতাকে আটক করা হয়েছিল বৃহস্পতিবার রাতে, তাদের আদালতে তোলা হলে তারা জামিন পেয়ে গেছেন।

তবে এখন থেকে সপ্তাহে দুদিন করে তাদের থানায় হাজিরা দিতে হবে।

এই চক্রটি ভূত বিক্রির নাম করে আগেও লোক ঠকিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com